চলতি বছরের জন্য যারা হজের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করেছেন তা আগামী ২০২১ সালের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন হিসেবে কার্যকর কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া যে সব হজযাত্রী জমাকৃত নিবন্ধনের টাকা তুলতে চান তাদেরকে আগামী ১২ জুলাইয়ের পর আবেদন করতে পারবেন।
আজ বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হজবিষয়ক এক অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ধর্ম সচিব মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিমান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর এবং বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে শুধু সৌদিতে বসবাসরতদের নিয়ে সীমিত আয়োজনে এবার হজ অনুষ্ঠানের সৌদির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে ধর্ম সচিব জানান। তিনি আরো জানান, সভায় ছয় দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলতি বছরের প্রাক-নিবন্ধন এবং নিবন্ধন যথারীতি ২০২১ সালের প্রাক-নিবন্ধন এবং নিবন্ধন হিসেবে কার্যকর কার্যকর থাকবে। আগামী বছর কোনো কারণে হজ প্যাকেজের ব্যয় বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে তা বর্তমানে হজযাত্রীর জমাকৃত অর্থের সমন্বয় করা হবে।
কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন বাতিল করলে একই সঙ্গে তাঁর প্রাক-নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে এবং তাঁর নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যেতে হবে। কোনো হজযাত্রী হজের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা অনলাইনে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করবেন এবং কোনো প্রকার সার্ভিস চার্জ কর্তন ছাড়াই তাঁকে তাঁর সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে তাঁর প্রাক-নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে এবং নতুন করে হজে যেতে চাইলে নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।
বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিবন্ধন বাতিল করে টাকা উত্তোলন করতে চাইলে তাঁর সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করবেন। এবং মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন করা সাপেক্ষে হজ এজেন্সির মাধ্যমে অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের জমাকৃত অর্থ গ্রহণ করবেন।
সরকারি অথবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনাযর যে সব হজযাত্রী তাদের জমাকৃত নিবন্ধনের টাকা তুলতে চান তাদেরকে আগামী ১২ জুলাইয়ের পর আবেদন করতে হবে।