পবিত্র হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরব এসে উপস্থিত হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকেও হজ্জযাত্রীদের শেষ ফ্লাইটের যাত্রীরা এখন মক্কায় অবস্থান করছেন। হজ্জ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন হজ্জযাত্রীরা। মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে মিনার অবস্থান। ৭ থেকে ১২ জিলহজ্জ এই কয়দিন মিনা, আরাফাহ এবং মুজদালিফায় অবস্থান করবেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার এশার নামাজ আদায় করে মিনার উদ্দেশে রওনা দেবেন তাঁরা। ইহরামের কাপড় পরে এবং অন্যান্য জিনিস সঙ্গে নিয়ে মিনায় যাবেন তাঁরা। ছয় দিন পরে ফিরে আসবেন সবাই।
নিয়মমাফিক আগামী শুক্রবার থেকে হজ্জের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২০-২২ লাখ হজ্জযাত্রীকে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নির্ঝঞ্ঝাটে মিনায় পৌঁছানোর স্বার্থে আজ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাদের নেয়া শুরু করবেন মোয়াল্লেমরা।
প্রত্যেক হজ্জযাত্রীকে মিনার তাঁবু নম্বর সংবলিত কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওই কার্ড সব সময় গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
মক্কার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হজ্জের সময় মক্কার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। আর্দ্রতা থাকবে ৮৫ শতাংশ। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
হাজ্জিরা ৮ জিলহজ্জ শুক্রবার মিনায় সারাদিন থাকবেন। ৯ জিলহজ্জ শনিবার ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এরপর আরাফাত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজ্জিরা ।
১০ জিলহজ্জ রোববার ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন তাঁরা। মিনায় এসে বড় জামারাকে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে স্বাভাবিক পোশাকে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন।
তাওয়াফ, সাই শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ্জ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।
মোয়াল্লেম দপ্তর থেকে জানা যায়, মোয়াল্লেম নম্বর ৭ ও ৮-এর অধীনে থাকবেন বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আসা হাজিরা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে আসা হাজিরা থাকবেন ৩, ৪, ৬, ১১, ২০, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৭৫-৭৭, ৯৯, ১০১, ১০৩ থেকে ১৩৭ মোয়াল্লেম নম্বরের অধীনে।
মিনায় হাজিদের সহায়তার জন্য ২৪/৬২ নম্বর তাঁবুতে পাঁচ দিনব্যাপী বাংলাদেশ হজ্জ কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্র: শীর্ষনিউজ