এ বছর হজ গমনেচ্ছুদের জন্য হজ নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা আরও একদফা বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এর আগে, প্রাথমিকভাবে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ১৫ মার্চ পর্যন্ত বেধে দেয়া হয়েছিল। তবে ১২ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে সময়সীমা ২৫ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। তবে করোনার কারণে সব কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় এ সময় ফের বাড়ানো হলো।
বুধবার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এজেন্সিসমূহকে ‘হজযাত্রী নিবন্ধন ব্যাংক হিসাব’ ব্যবহার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশ গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২ মার্চ থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে ওমরাহযাত্রী প্রেরণ ও সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ আছে। তবে পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২০ সালে হজযাত্রী প্রেরণের লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
এ সময় হজ সংক্রান্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত জানান প্রতিমন্ত্রী। এগুলো হলো-
বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বিমান ভাড়া এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অন্য কোনো ব্যয় বাবদ কোনো অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। অবশিষ্ট অর্থ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমা দেয়ার করার জন্য হজযাত্রীকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
নিবন্ধনের সময় হজযাত্রী এবং এজেন্সিকে আবশ্যিকভাবে নগদ লেনদেন পরিহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মধ্যস্বত্বভোগী বা তথাকথিত গ্রুপ লিডারের মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে না। নিবন্ধনের সময় হজযাত্রীর পক্ষ থেকে জমাকৃত অর্থ শুধুমাত্র হজ কার্যক্রমেই ব্যয় করতে হবে। নিবন্ধন ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। হজযাত্রী থেকে এজেন্সির ব্যাংক হিসাব ব্যতীত কোনোভাবে নগদ লেনদেন করা হলে এ জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মাধ্যমে হজযাত্রী, নিবন্ধনে নিয়োজিত এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে আবশ্যিকভাবে এ নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানান ।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য পূর্বের ন্যায় সম্পূর্ণ টাকা জমা দিয়ে করে হজযাত্রী নিবন্ধনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সরকার ঘোষিত নিয়ম-কানুন, স্বাস্থ্যবিধি, মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রদত্ত নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী এ কঠিন বিপদের মুহূর্তে মুসলমানদেরকে আল্লাহর নিকট বেশি বেশি তাওবা, ইস্তেগফার করা এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ বিধান মতে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।