তাওয়াফে ইফাদা
তাওয়াফে ইফাদা সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর
   
তাওয়াফে ইফাদার হুকুম কি?
 এ তাওয়াফটি হজ্জের একটা রুক্‌ন অর্থাৎ ফরজ। এটা ছুটে গেলে হজ্জ হবে না। তাওয়াফে ইফাদার অপর নাম তাওয়াফে যিয়ারাহ বা ফরয তাওয়াফ।
তাওয়াফে ইফাদার সময় কখন শুরু হয়?
 উত্তম সময় হলো ১০ই যিলহজ্জ ঈদের দিন কংকর নিক্ষেপ, কুরবানী করা ও চুল কাটার পর তাওয়াফে ইফাদা করা। তবে সেদিন ফজর উদয় হওয়ার পরই তাওয়াফে ইফাদার সময় শুরু হয়ে যায়।
এ তাওয়াফের শেষ সময় কখন?
 ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ)-এর মতে ১০, ১১ ও ১২ই যিলহজ্জ-এ ৩ দিনের যে কোন দিন বা রাতে তাওয়াফে ইফাদা করে ফেলা ওয়াজিব। এ সময়ের মধ্যে না পারলে দম দিতে হবে। পক্ষান্তরে একই মাযহাবের ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদের মতে ১২ই যিলহজ্জের পরও যে কোন দিন তাওয়াফে ইফাদা করা যায়। এজন্য কোন প্রকার দম দেয়া লাগবে না, (البدائع الصنائع) এ সময়ে তাওয়াফ ও সাঈতে প্রচণ্ড ভীড় হয় বিধায় বৃদ্ধ, অসুস্থ, শিশু, নারী ও অক্ষম হাজীদের দু’তিন দিন পর তাওয়াফ-সাঈ করা ভাল মনে করছি।
তাওয়াফে ইফাদার নিয়ম কি?
 এ তাওয়াফ উমরার তাওয়াফের মতই। এ বিষয়ে পূর্ববর্তী ৭ম অধ্যায়ে দেখুন।
তাওয়াফে ইফাদা শেষে যে সাঈ করা হয় তার হুকুম ও নিয়ম কি?
 উক্ত সাঈ ওয়াজিব। কেউ কেউ বলেছেন এটা ফরয। উমরার সাঈর মতই এ সাঈ। যে কোন পোষাক পরে এ সাঈ করা যায়। বিস্তারিত দেখুন পূর্ববর্তী ৮ম অধ্যায়ে।
তথ্য সূত্রঃ Preaching Authentic Islam In Bangla.